সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অনলাইন সেবা হাতিয়া অ্যাপ হাতিয়ার সকল ধরণের তথ্য ও রক্তদান কেন্দ্রিক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

প্রেমদেবি নাকি স্বপ্নদেবি?

  সেপ্টেম্বর মাস। ধুলোবালি পূর্ণ শহর আর ভ্যাপসা গরম। Raiders নামক বাসের ভেতর বসে ঘামছে কয়েকজন লোক, তার মধ্য আমিও একজন।গন্তব্য বহুদূর। তাই বসে বসে ঝুমুচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম পিতা মাতা ছেড়ে এই শহরে আমি কতই না একা বাস করছি। চিন্তার সাথে সাথে মনটা দারুণভাবে বিষিয়ে উঠল। ইদানীং নিজেকে খুব একা মনে হয় কেন তা ঠিক বুজতে পারিনা। হঠাৎ বাস ব্রেক করায় তন্দ্রাভাব আর এত্তগুলা বিরক্তি নিয়ে সামনের দিকে তাকালাম, উদ্দেশ্য ব্রেক করার কারণ দেখা। একজন ঘুমন্ত মানুষের মুখে এক বালতি ঠাণ্ডা জল ডাললে সে যেভাবে জেগে উঠে ঠিক সেইভাবে তন্দ্রাভাব কেটেগেল তাকানোর সাথে সাথে। অন্ধকারের মধ্য আলো জ্বলে উঠলে অন্ধকার যেমন হটাৎ করে পালাই তেমনি আমার মনের সকল বিষাদ পালিয়ে গেল। বিরক্তিততে কুঁচকে যাওয়া মুখখানা নিজের অজান্তেই হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। স্বর্গীয় এক সুগন্ধে শরীরের প্রতিটি কোষ রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল। ভুলে গেলাম আমি পুরো দুনিয়া, আমি উপলব্ধি করলাম আমার চোখ আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, নেই আমার নিয়ন্ত্রণে আমার মনও। চোখ মন সবই যেন আজ কথা বলছে, চোখ বলছে "এমন রুপ দেখেছি কি জীবনে" মন বলছে "তবে কি আমি এতদিন.... আর ভাবতে হ

বিষ - বাংলা হাসির গল্প

বিষ - একটি বিষময় কাহিনী গতকাল রাতে ছোট ভাইরে ভালো মার্কস পাওয়ার জন্য পড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর ইয়া বড় এক মটিভেশনাল লেকচার  দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম পরম নিশ্চিন্তে। সকাল বেলা বেশ খোশ মেজাজে ঘুম থেকে উঠিলাম। ঘড়ি দেখি মাত্র ১১:৫৭ বাজে। মনে মনে ভাবলাম আহা আমি কতই না কর্মিক মানুষ, কত সকাল সকাল উঠে পড়ি অথচ বন্ধুবর দ্বীপু হালায় ১২ টা অবধি ঘুমায়। নিজেকে কর্মিক ভাবতে পেরে বেশ আনন্দ হচ্ছিল আর সেই আনন্দে ভাবলাম ৭ দিন আগে ধৌত করা শার্ট টা আর ওইযে গত শনিবারে ধুইলাম সেই প্যান্ট টা আরেকবার ধুয়ে পেলি। খুজতে গিয়ে তাহাদের পেলাম আলনার নিচে। যাইহোক এমনি সময় ছোট ভাই হাজির তার রহস্যময় হাসি নিয়ে। অনেক ভেবেও যখন কারণ পাইলাম না তখন জিগাইলাম কাহিনী কি? ভ্যাটকাও ক্যা? সে গালটারে আরো একটু প্রশস্ত কইরা কইলো অন্তরদা ফোন দিছিলো, তুমি ঘুমাচ্ছিলে তাই আমি ধরছি। কইলাম তো কি হইছে কি কইছে সে যে ভ্যাটকাইতে হইব? সে আবার রহস্যময় হাসি দিয়া কইল তোমাদের রেজাল্ট দিছে আর বড় কথা হইলো তুমি ৩ সাব্জেক্ট ফেইল। শুইনা মনে মনে হার্টএটাক একটা করমু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম । কিন্তু যখন ছোটভাই কইলো ভাই তুমি না কাল আমারে জ্ঞান দিছিলা? নিজেই পাশ করতে প

একটি টয়লেট সমাচার - হাছিবুল মাওলা

টয়লেট আমার সবচেয়ে প্রিয় স্থান গুলোর মধ্য অন্যতম। নিউটনের আপেল পড়ার কাহিনী শুনার পর লোভে পড়ে নিজ মাথায় কাঁঠাল পরবে এই আশায় প্রিয় স্থান বানিয়েছি ভেবে কেউ লজ্জায় পেলবেন না। আসলে এর পিছনে কিছু  পারিবারিক ইতিহাস আছে। ছোটবেলায় সবাই ই আদর পাই, পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় আমি একটু বেশি পাইতেছিলাম। কিন্তু এই আদর কপালে বেশিদিন জুটলো না। জীবনে হাজির হল পড়ালেখা নামক বিভীষিকা।😭  যেই মা কোনদিন একটু রাগ করে কথাও বলে নি, সব দুষ্টুমি নিরবে সয়েছে সেই মা ও একদিনে বদলে গেল😲  সামান্য অ আ এর জন্য কিনা  মার খেলাম! সেদিন থেকেই পড়ালেখা আমার ঘোর শত্রু হয়ে গেছিল। বিচানা ছাড়বার পর থেকে আবার বিছানায় পেরার আগ পর্যন্ত পড়ালেখারে সেই যাবত শেখা সব গালি দিততে থাকতাম।  সকাল বেলা উঠেই মা পাঠাতো ওয়াশরুমে, বের হলেই আরবি পড়া, এরপর স্কুলের পড়া, এরপর স্কুল। জীবনটা তেতো হয়ে উঠেছিল। একদিন সকালে উঠে যখন টয়লেটে গেলাম আর  ঝুরে ঝুরে ভাবছিলাম অতিত ইতিহাস আর পড়ালেখার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করতেছিলাম তখনি পাই এক অসাধারণ, ঝকঝকে (আমার ভাষায়) বুদ্ধি। ভাবলাম যদি আমি দেরিতে বের হই এখান থেকে  তাহলে কি হবে?  সামান্য পড়তেই স্কুলের সময় হয়ে যাবে, আহ

একটুখানি প্রেম

-শুনুন -বলুন -আপনার পিছন দিকটা ছিটানো কাদায় নোংরা হয়ে গেছে । -মাটির শরীরে মাটি লাগলে কিছু হয়না। -কিন্তু সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়। -আমি আমার সৌন্দর্য নিয়ে মাথা ঘামাই না। আআআম তাছাড়া আমার ধারাণা আমায় নিয়ে অন্য কারো ও মাথা ব্যাথা নেই। -কি করে বুঝলেন? -কেউ কভু তেমন ইঙ্গিত দেয় নি। -পাগল, মেয়েরা কভু ইঙ্গিত দেয়? তাছাড়া আপনার তো কোনো ইঙ্গিত বুঝার ক্ষমতায় নেই। -তাই? -হুম -আপনার তো গোলাপি লিপস্টিক দেয়া উচিৎ। -তাই ! কেনো? -তাতেই আপনাকে ভালো লাগবে। -বাহ! আমার ভালো খারাপের দেখি কেউ একজন খবর রাখে। তা আর কি কি করলে ভালো লাগবে? -মাত্রাতিরিক্ত মেকাপ না করলে ভালো লাগবে। -তাই, তারমানে মেকাপ না করতে বলছেন? -হুম, আপনারা মেকাপ বলতে যা বুঝেন তা হয়ত করতে না করছি। -তবে কিভাবে করব আপনিই বলে দিন। -সুন্দর করে মুখ ধুয়ে হাল্কা ক্রিম মাখবেন। কপালে একটা ছোট্ট লাল টিপ পরবেন। চুলগুলো ছেড়ে দিবেন। ঠোটে হাল্কা গোলাপি লিপস্টিক দিবেন। সর্বশেষ একটা নীল শাড়ি পরবেন। -এভাবে সাজলে আমায় অনেক বেশি সুন্দর লাগবে? -আপনি যা নন তা কভু হতে পারবেন না। এসব পরলে তার চোখে আপনি অপূর্ব হবেন যে আপনাকে পছন্দ করে। -তার পছন্দ মতো সেজেই বা কি হবে সে তো

ব্রেকাপ-একটি অনন্য বিচ্ছেদ

ব্রেক-আপ তো ব্রেক-আপ ই। তবে কেন নতুন করে আশা দেখানো হচ্ছে! কেনই বা পুরাতন প্রেম তরি নতুন করে গড়ার চিন্তা মাথায় আসছে! কেনইবা দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েও আজ আবার স্বপ্ন দেখতে বলছ, অপেক্ষা করতে বলছ! বড়ই আজব জীবন তাইনা! . ব্রেকাপ মানেই সম্পর্কের বিচ্ছেদ জানি, কিন্তু মনের বিচ্ছেদ ও কি ব্রেকাপ? ব্রেকাপ হলেই বন্ধু বন্ধুয়ার ভালোবাসাময় ফুলেল পথ দুইটি দুদিকে যায়, কিন্তু মন কি তাদের আলাদা হয়? বুকে হাত দিয়ে সত্য প্রেমের মধুর জল খাওয়া কোন কপত-কপতি কি বলতে পারবে সঙ্গিকে সে ভুলে থাকতে পেরেছে? . এক বন্ধুকে ছিনি যে নিজের সবটুকু দিয়ে তিলে তিলে গড়েছিল দীর্ঘ ৯ বছরের ভালোবাসা। কিন্তু শহুরে হাওয়ায় মন মাতিয়ে রঙিন আলোয় মেয়েটি হারিয়ে বন্ধুর জীবন থেকে। রোজ রাতে বেঈমানীর দেওয়া স্মৃতিচারণ করে আজো বন্ধু হা-হুতাশ করে। কিন্তু ভুলে গিয়ে এক মুহূর্ত ও সুখে থাকা বন্ধুর পক্ষে সম্ভব হয়নি। . ভালোবাসা কোন খেলা নয়, কিন্তু প্রয়োজনের স্বার্থে আমরা এটাকে খেলায় রুপান্তর করি। এক পক্ষ যখন খেলা খেলে আত্মপক্ষের কাছে হয় হিরো সেই পক্ষই তখন সঙ্গীর কাছে হয় বেঈমান, স্বার্থপর, ধোকাবাজ। আসুন সঙ্গীকে বুঝার চেষ্টা করি, তার খেলা সেই নিষ্ঠুর খেলায় ক

ফিরে দেখা ১

কার চোখে কে কেমন? তার চোখেই বা আমি কেমন? মানে কেমন ছিলাম? এইসব হাবিজাবি নিয়ে ভাবছে আদি। বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেশ সুখেই ছিল। স্যার ও সম্মানীত বন্ধুরা এমনকি মাঝে মাঝে ওর আম্মুও ওকে দুষ্টুমির জন্য অতি আদরে বজ্জাতের কাঁদি বলে ডাকতো। সবাইকে হাসাতে ও ছিল এক্সপার্ট। কারো মন খারাপ থাকলে ভালো করার চেষ্টায় ওর থিওরিগুলো ছিল অব্যার্থ, অথচ আজ? :( অতিত! অনেক অনেক পুরনো অতিত হাতড়াচ্ছে সে। এখন বিকেল বেলা, সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে। শিপের ধারে দাঁড়িয়ে সে দেখছে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য। অনেক আগে একজনকে কথা দিয়েছিলো এমনি কোন বিকেলে দূরের সমুদ্রে ডুবতে থাকা সূর্য দেখবে দুজন মিলে। ডুবন্ত রক্তিম সূর্যের অন্তিম কিরণ যখন উঁচু পাহাড়ের মাথায় থাকবে তখন এমনি কোন সূর্য অংকিত টিপ তার শ্রী-কপালে পরিয়ে দিবে। আর সারারাত ওই কপালের টিপের আলোয়, পাহাড়ের ছায়ায় জেগে জেগে দুজন স্বপ্ন দেখবে। বহু স্বপ্ন। রাত জাগা শত রোমান্সের স্বপ্ন। প্রেম নদীতে ভাসমান তরীর স্বপ্ন। সহস্র গোলাপের সৃষ্টির স্বপ্ন। ফুটফুটে একটা বাচ্চার স্বপ্ন। যার মুখ থেকে তারা মা বাবা ডাক শুনবে।  ♥ কিন্তু আজ ওই সব স্বপ্ন গুলোই স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।  :( শিপ